পাপের বাপ কে?




#পাপের বাপ কে ?
ভুবেনশ্বর শহরে একজন নামকরা পণ্ডিত ছিলেন । তিনি কাশী থেকে পড়াশোনা শেষে বিয়ে করে সংসার পাতেন । দিনকাল ভালোই কাটছিল । একদিন তাঁর স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করল — “ পণ্ডিতমশাই ! বলুন তো পাপের বাপ কে ? ”
পণ্ডিত পুঁথিপত্র খুলে বসলেন , কিন্তু পাতি পাতি করে খুজেও কোথাও পেলেন না , পাপের বাপ কে ? তার খুব লজ্জা হল । স্ত্রী জিজ্ঞাসা করছে পাপের বাপ কে ? আর এত বড় পণ্ডিত হয়ে , এত লেখাপড়া করে , আমি বলতে পারলামনা , পাপের বাপ কে ? তিনি আবার কাশী যেতেমনস্থ করলেন । ভাবলেন কাশী গিয়ে সব আর একবার ভালোভাবে জেনে আসতে হবে ।

কাশী যাবার পথে এক বেশ্যার সঙ্গে পণ্ডিতের দেখা হয়ে গেল । বেশ্যাটি শুনেছিল পণ্ডিত কাশী থেকে বিস্তর পড়াশুনা করে এসেছেন । সে পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করল — “ পণ্ডিতজী কোথায় যাচ্ছেন ? ? ”
পণ্ডিত বলল — “ আমি কাশী যাচ্ছি । ’
বেশ্যাটি বলল — “ কেন , কাশী যাচ্ছেন কেন ? আপনি তো কাশী থেকে পড়াশোনা করেই এসেছেন ? ”
পন্ডিত বলল — “ কী করব বল ? বাড়িতে আমার স্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করেছে ,পাপের বাপ কে ? আমি তার জবাব দিতে পারিনি । তাই আবার পড়াশোনা করে দেখব পাপের বাপ কে ? ’
বেশ্যাটি বলল — “ আপনি ওখানে কেন যাচ্ছেন ? এ তো আমিই বলে দিতে পারি । ”
“ খুব ভাল কথা , তাহলে আর অত দূর যেতে হয়না ’ , পণ্ডিত বললেন । বেশ্যটি বলল — “ আপনি বাড়ি চলে যান । আপনাকে পাপের বাপ কে , আমি বলে দেব । ”

পণ্ডিত বাড়ি ফিরে গেলেন । অমাবস্যার একদিন আগে বেশ্যটি পণ্ডিতের বাড়িতে এল । একশো টাকার একখানি নোট সে পণ্ডিতের সামনে রেখে বলল — “ মহারাজ ! আপনি কাল আমার ঘরে ভোজন করবেন । ”
পণ্ডিত বললেন — “ ঠিক আছে । ’
পরদিন পণ্ডিতজীর রান্নার জন্যে সব জিনিসপত্র জোগাড় হয়ে গেছে । আর পণ্ডিতজীও এসে গেছেন । পণ্ডিত নিজের হাতে রান্না করার জন্যে এগিয়ে গেলেন । তখন বেশ্যটি বলল — “ পণ্ডিতমশায় , আপনি তো নিজে রান্না করে খান , অন্য কারো রানা খান না । আজ আমি রান্না করে দিচ্ছি , আপনি খেয়ে দেখুন । ” এই বলে সে আরো একশো টাকার একটি নোট পণ্ডিতজীকে দিল। /

পণ্ডিত ভাবলেন আমি যদি অন্য লোকের হাতের রান্না খাই , তবে আর কী ক্ষতি ? এই ভেবে রাজী হয়ে গেলেন । এবার রান্নাবান্না করে পণ্ডিতজীর সামনে পরিবেশন করা হল । আরো একশো টাকার একটি নোট পণ্ডিতের সামনে রেখে প্ৰণাম করে বেশ্যটি বলল — “ মহারাজ ! আপনি যখন আমার হাতের রান্না খাচ্ছেনই তখন একটু দয়া করুন , আমি নিজের হাতে আপনাকে খাইয়ে দিই । হাত তো সেই একই , এই হাতেই তো রান্না করা হয়েছে । দয়া করে আমার হাতে আজ খান । ”

পণ্ডিত তার এ কথায়ও রাজী হয়ে গেলেন । এবার খাবারের গ্রাস নিয়ে পণ্ডিতের মুখের সামনে ধরার সঙ্গে সঙ্গে যেই না পণ্ডিত হাঁ করেছেন , অমনি তাঁর মুখে এক থাপ্নড় কষিয়ে বেশ্যাটি বলে ওঠে — “ এখনও জ্ঞান হল না মূৰ্খ পণ্ডিত ! খবরদার । আপনি আমার ঘরের অন্ন ছোবেন না । ব্ৰাহ্মণের ধৰ্ম আমি নষ্ট করতে চাই না । আমি এত সব করলাম শুধু পাপের বাপ কে তাই জানাবার জন্য, এখনও বুঝেন নি ? পাপের বাপ কে ? টাকার লোভ। আর কিছু টাকা দিলে আমার সাথে সম্ভোগও করতে দ্বিধাবোধ করতেন না''।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন,
'' ত্ৰিবিধং নরকস্যেদং দ্বারং নাশনমাত্মনঃ ” ( গীতা ১৩/২১ )
''অর্থাৎ কাম , ক্ৰোধ , আর লোভ — এই তিন রিপু নরকের উন্মুক্ত দ্বার''।

#আর লোভী মানুষ কুকুর তুল্য।। হরেকৃষ্ণ।।
------------------------------------------------------------------------------
সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।

শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....

ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম  হরে রাম  রাম রাম  হরে হরে ...(১০৮ বার)

হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হন ...

জয় শ্রীল প্রভুপাদ
জয় শ্রীল গুরুদেব

0 Comments