ভক্ত প্রহ্লাদ এর জন্য যখন ভগবান নৃসিংহ রূপে আবির্ভূত হন এবং হিরণ্যকশিপুকে সংহার করেন, কিছু সময় পরে নৃসিংহ ভগবানকে প্রহ্লাদ নিজের পূর্ববর্তী জীবনের কর্মফল সম্পর্কে জানতে চান।
উত্তরে নৃসিংহ দেব জানান, প্রহ্লাদ আগের জন্মে এক সাধুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এবং প্রহ্লাদ এর আরও চারজন ভাই ছিল। অন্যান্য চার ভাই ধর্মপরায়ণ হলেও প্রহ্লাদ একটি দুরাচারী ব্যক্তি ছিল।এর জন্য প্রহ্লাদ এর পিতার অনেক দুর্নাম ঘটে। অবশেষে একদিন আর সহ্য করতে না পেরে প্রহ্লাদ কে তার পিতা ঘর থেকে বের করে দেয়।
প্রহ্লাদ অসৎ সঙ্গে থেকে অসৎ কর্ম করে জীবন কাটাতে থাকে।
একদিন প্রহ্লাদ এর স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয় এবং রাগ করে প্রহ্লাদ বনে চলে যায়। বনে একটি পুরনো ভাঙা স্থপতির মধ্যে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে রাত্রি বাস করে।
মনের দুঃখে প্রহ্লাদ ভাবতে শুরু করে, জীবনে কি পরিণতি সে লাভ করছে, অন্য চারভাই ধার্মিক ও সম্মানীয় জীবন যাপন করছে কিন্তু সে কি তার জীবন টা নষ্ট করছে না?
এইসব ভাবতে ভাবতে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে এবং অনাহারে থেকে সারারাত ভগবানের চরণে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে থাকে।
নৃসিংহ দেব প্রহ্লাদ কে বললেন, "আগের জন্মের ওই ভাঙা স্থপতি টি ছিল আসলে আমার মন্দির এবং সেদিন ছিল আমার আবির্ভাব তিথি --- নৃসিংহ চতুর্দশী । তোমার সারাজীবনের পাপ সংগ্রহ ওই একদিন এর অজান্তে করা ব্রত দ্বারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়েছে এবং তুমি এই জন্মে ভক্ত প্রহ্লাদ রূপে জন্ম নিয়ে আমার দর্শন লাভ করছ। "
0 Comments