👉কাম প্রবৃত্তি -




➡কাম প্রবৃত্তি
শ্রীভগবান উবাচ 
কাম এষ ক্রোধ এষ রজোগুণ সমুদ্ভবঃ।
মহাশনঃ মহপাপ্মা বিদ্ধি এনম্ ইহ বৈরিণম্।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৩/৩৭
➡অনুবাদ - পরমেশ্বর ভগবান বললেন-হে অর্জুন-রজগুণ থেকে সমুদ্ভূত কামই মানুষকে এই পাপে প্রবৃত্ত করে এবং এই কামই ক্রোধে পরিণত হয়। কাম সর্বগ্রাসী এবং পাপাত্মক; কামকেই জীবের প্রধান শত্রু বলে জানবে। 
➡তাৎপর্য - ভগবান হচ্ছেন সব কিছুর উৎস। সুতরাং কামেরও উৎস হচ্ছেন ভগবান। তাই, যদি এই কামকে ভগবৎ-প্রেমে রুপান্তরিত করা যায়, অর্থাৎ কৃষ্ণভাবনায় উদ্বুদ্ধ করা যায়, ভগবানের সেবায় নিয়োজিত করা যায়, তা হলে কাম ও ক্রোধ দুটিই অপ্রাকৃত চিন্ময়রুপ প্রাপ্ত হয়। এইভাবে কামের সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধও ভগবদ্ভক্তিতে রুপান্তরিত হয়। শ্রীরামচন্দ্রের ভক্ত হনুমান শ্রীরামচন্দ্রকে তুষ্ট করবার জন্য তাঁর ক্রোধকে শত্রুনিধন কার্যে প্রয়োগ করেছিলেন। এখানেও ভগবদগীতায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে তার সমস্ত ক্রোধ শত্রুবাহিনীর ওপরে প্রয়োগ করে ভগবানেরই সন্তুষ্টি বিধানের কাজে লাগাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। এইভাবে আমরা দেখতে পাই যে, আমাদের কাম এবং ক্রোধকে যখন আমরা ভগবানের সেবায় নিয়োগ করি, তখন তারা আর শত্রু থাকে না, আমাদের বন্ধুতে রুপান্তরিত হয়।

0 Comments